পাক ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত অলি-এ-কামেল, মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের আধ্যাত্ম শরাফতের প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ এবং মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারী হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) প্রকাশ হজরত সাহেব কেবলার ১১৮তম বার্ষিক ওরশ মোবারকের প্রধান দিবস (১০ মাঘ) আজ ২৪ জানুয়ারী, বুধবার মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শতবৎসরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এই মহান অলীর ওফাত দিবসের স্মরণে ১০ মাঘ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বার্মা, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বহু দেশ হতে আগত লক্ষ লক্ষ ভক্ত অনুরক্ত আশেকদের উদ্দেশ্যে গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারীর একমাত্র পৌত্র ওয়ারিশ ও স্থলাভিসিক্ত সাজ্জাদানশীন অছি-এ-গাউসুলআজম হজরত শাহসুফি সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভাণ্ডারী কর্তৃক মনোনীত মোন্তাজেম, জিম্মাদার ও সাজ্জাদানশীন, আওলাদে গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারী আলহাজ্ব ডাঃ সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সংমিশ্রনে উদ্ভাবিত অসাম্প্রদায়িক আধ্যাতিকতা, সাম্য ও সৌহার্দমণ্ডিত মাইজভান্ডারী তরিকার অন্তর্নিহিত নির্যাস বিশ্বশান্তি ও মানবতার কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।” তিনি মহান ১০ মাঘের ওরশে আগত আশেক- ভক্তদের নিয়ে দেশ, জাতি ও বিশ্বশান্তির জন্য মোনাজাতের মাধ্যমে দোয়া করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব মোন্তাজেম ও ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক শাহজাদা সৈয়দ হোসেইন রাইফ নুরুল ইসলাম রুবাব মাইজভাণ্ডারী, আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউসে মাইজভান্ডারীর সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া, মহাসচিব আলহাজ্ব সৈয়দ মাহমুদুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়িক খালেদ হোসেন খান মাসুক, আঞ্জুমানের যুগ্ম-সচিব নুরুল আলম চৌধুরী প্রমুখ। এর আগে দিনব্যাপী কোরআন খানি, তাওলদে গাউছিয়া, মিলাদ নবী (দ.) বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দোয়া কামনা করা হয়। বাদ মাগরিব থেকে আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের উদ্যোগে শানে বেলায়ত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে তকরির পেশ করেন আলামা ফরিদুল আলম রেজভী (ম.) ও আল্লামা আহমদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)। মুনাজাত পরিচালনা করেন মাজার শরীফের খাদেম মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ এনাম, মাহফিল পরিচালনায়-মুহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী সেলিম ও মুহাম্মদ সাকেরুল ইসলাম তারেক।