ড.বরুণ কুমার বলাইঃ-
ফটিকছড়িতে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া হক মনজিল কর্তৃক আয়োজিত প্রতিদিনের ইফতার মাহফিলে এক অন্য রকম ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য পূর্ণ আশেক ভক্তের মিলন মেলা ঘটে।
উপমহাদেশের অন্যতম আধ্যাত্বিক স্থান মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার আশেক ভক্তের সমাগম ঘটে। পবিত্র রমজান মাসে গাউছিয়া হক মনজিল কর্তৃক আয়োজিত প্রতিদিনের ইফতার মাহফিলে ইফতার সময়ের আধা ঘণ্টা এক ঘণ্টা পূর্বে থেকে রোজাদারগণের সমাগম ভাড়তে থাকে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী(ক.) রওজা শরীফ প্রাঙ্গনে।
মাদ্রাসা ছাত্র, আশেক ভক্ত,দর্শনার্থী, পথচারী থেকে শুরু করে ছোট বড় বিভিন্ন বয়সী রোজাদারগণ একে একে লাইন ধরে বসে পড়ে বিশ্ব অলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর রওজা শরীফ সম্মুখস্থ নির্ধারিত স্থানে। আর নিয়োজিত সেচ্ছাসেবকগণ ইফতার প্লেট দিতে থাকে। ইফতারে ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, মরিচা, আলুর চপ, জিলাপি, মুড়ি, শরবত, বিভিন্ন ফলমূল থেকে শুরু করে ভক্তদের নিয়ে আসা বিভিন্ন খাবার আইটেম দিয়ে থাকে। প্রতিদিন নিয়োজিত থাকে ২৫-৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক। তদারকিতে থাকে দুই-তিনজন। গাউছিয়া হক মঞ্জিলের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহবুদ্দিন বলেন, প্রতি বছরই এ আয়োজন হয়। সে ধারাবাহিকতায় এ বছরও প্রতিদিন ইফতারির আয়োজন চলছে।
এভাবে প্রতিদিন তিন চারশ,বৃহষ্পতি ও শুক্রবার পাঁচ ছয়শ’ এবং ২৬ রমজান ও বিশেষ দিনে কয়েক হাজার মানুষের ইফতার আয়োজন করে থাকে গাউছিয়া হক মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন রাহাবারে আলম আলহাজ্ব হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (মঃ জিঃ আঃ) এর নির্দেশনায়।
তিনি নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন এবং মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ থাকলে সকলের সাথে ইফতার করেন বলে জানান ইফতার মাহফিলের তদারকিতে দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ বাবলু। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন তিন চারশ, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পাঁচ ছয়শ’ রোজাদারগণ ইফতার করে থাকে। আমরা স্বাচ্ছন্দে দায়িত্ব পালন করে থাকি।
গাউছিয়া হক মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন রাহাবারে আলম আলহাজ্ব সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারীর নির্দেশনায় গাউছিয়া হক মঞ্জিলের ব্যবস্থাপনায় এ আয়োজন। প্রতিদিন তিন চারশ’, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পাঁচ ছয়শ’ মানুষের আয়োজন করে থাকি। এতে আমরা আনন্দ পাই।
ইফতার করতে আসা মোহাম্মদ সরওয়ার জানান, এক সঙ্গে এত লোকের সাথে ইফতার ভাল লাগে। তাই সময় পেলে চলে আসি এখানে ইফতার করতে।
উল্লেখ্য, উপমহাদেশের অন্যতম আধ্যাত্মিক স্থান মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ। এখানে প্রখ্যাত অলি হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহম্মদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (কঃ), হযরত সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভাণ্ডারী (কঃ), হযরত সৈয়দ হযরত সৈয়দ দেলাওয়ার হোসাইন মাইজভাণ্ডারী (কঃ), হযরত সৈয়দ শামশুল হুদা মাইজভাণ্ডারী (কঃ), বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ), হযরত সৈয়দ শফিউল বশর মাইজভাণ্ডারী (কঃ), হযরত সৈয়দ মঈনুদ্দিন আল হাসানী আল মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর মাজার শরীফসহ আরো অনেক আউলিয়া ক্বেরামগণের মাজার শরীফ অবস্থিত।
প্রতিদিন হাজার হাজার আশেক ভক্তের সমাগম ঘটে এখানে। প্রতিটি মঞ্জিলে ইফতার ও দরবার শরীফ হয়ে থাকে।