দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনে প্রতিদ্বন্ধী ৯ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৭ প্রার্থী।
এ আসনের প্রদত্ত ভোটের ৮ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় তাঁদের জামানত বাতিল হয়।
৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যে সাত প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তারা হলেন নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারি।একতারা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫১ভোট। ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহানের প্রাপ্ত ভোট ২ হাজার ২৬১। বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের (মোমবাতি) প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট হামিদুল্লাহর প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৫৩৮। ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) প্রতীকের মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলমের প্রাপ্ত ভোট ৫২৬। ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরীর প্রাপ্ত ভোট ৩১১। লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিউল আজম চৌধুরীর প্রাপ্ত ভোট ২৫১। এ আসনে ১৪ দলীয় জোট নেতা তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ফুলের মালা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও শেষ মুহুর্তে এসে তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনিকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যান। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২৩১।
এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীকে তার আসনের মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট পেতে হবে। এর চেয়ে কম ভোট পেলে ওই প্রার্থীর জামানত হারানোর বিধান আছে। সে হিসেবে দুই প্রার্থী ছাড়া বাকি ৭ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন মর্মে বিবেচিত হবে।
প্রতিদ্বন্ধী ৯ প্রার্থীর মধ্যে বিজয় লাভ করেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। নৌকা প্রতীকে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১ লক্ষ ৬৮৫ ভোট।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী হুসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৩৬ হাজার ৫৬৬ ভোট।।
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ৪৮৭ ভোট।
নির্বাচনে প্রদত্ত বৈধ ভোটের সংখ্যা লক্ষ ৪৫ হাজার ৫২০ ভোট। বাতিলকৃত ভোট ৩ হাজার ৯৪৫ ভোট। সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৬৫ ভোট।
প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৩২.৭৪।
১৪২ ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।