শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
উসুলে সাবআ সপ্ত পদ্ধতি জগতের সামনে তুলে ধরার যোগ্যতা, সক্ষমতা ও তৌফিক কামনা করেন হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী মাইজভান্ডার শরীফ শাহী ময়দানে পবিত্র ঈদ উল ফিতর এর জামাতে অংশ নেন হযরত সৈয়দ হাসান মাইজভান্ডারী (মাঃ) মাইজভান্ডারি সূর্যগিরি আশ্রম শাখার উদ্যোগে ঈদ বস্ত্র-সামগ্রী প্রদান মাইজভান্ডার শরীফ গাউসিয়া হক মনজিলে বাবা ভাণ্ডারী-র চাহরাম শরীফ সম্পন্নঃ খুলশী যুব উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে এতিম শিশু ও পথচারী রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ লাইলাতুল কদর মাহফিলে গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারীর রওজা-এ-পাক জিয়ারতরত শাহসুফি সৈয়দ সহিদুল হক মাইজভাণ্ডারী কাঞ্চনা পল্লী কল্যাণ সমিতির দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। নাজিরহাটে হক কমিটির ঈদ উপহার বিতরণ বাবা ভান্ডারীর ওরশ শরীফের আখেরি মোনাজাতে সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী গাউছিয়া হক মনজিলে বাবা ভান্ডারীর ৮৮তম ওরশ উদযাপন,
নোটিশ :

তাযকেরা-এ-চেরাগে উম্মতে আহমদী (দ.) মাহফিলে সৈয়দ মোহাম্মাদ হাসান মাইজভান্ডারী শুধু রাজনীতির জন্য নয়, আধ্যত্মিক দৈন্যতা নিরষণ করে আধ্যাত্মিক পূর্ণতা প্রদানের জন্যই এসেছে ইসলাম

গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র রক্ত ও বেলায়তের উত্তরাধিকার, এসজেডএইচএম ট্রাস্টের মাননীয় ম্যানেজিং ট্রাস্টি ও দরবারে গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র গাউসিয়া হক মনজিল এর সম্মানিত সাজ্জাদানশীন, রাহবারে আলম, শাহ্সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র সদারতে গত ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ রোজ- রবিবার, মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ শাহী ময়দানে; গাউসিয়া হক মনজিলের ব্যবস্থাপনায়; তাযকেরা-এ-চেরাগে উম্মতে আহমদী (দ.) মাহফিল’২৩ উদযাপিত হয়েছে। মাহফিলে বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় ইনসান হতে ইনসানে কামেলে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া হলো হুযুর গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র প্রবর্তিত উসূলে সাব’আ বা মানব মুক্তির সপ্তকর্ম পদ্ধতি” বিষয়ে আলোচনা উপস্থাপন করেন শাহানশাহ হক ভাণ্ডারী ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবু তাহের বহুত্ববাদী সমাজে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে তৌহিদে আদিয়্যানের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা উপস্থাপন করেন উম্মুল আশেকীন মুনাওয়ারা বেগম এতিমখানা ও হেফজখানার প্রধান হাফেজ মাওলানা হাফেজ আবুল কালাম নামাযে এশার ইমামতি করেন মাইজভাণ্ডার শাহী জামে মসজিদের খতিব, ব মাওলানা বশিরুল আলম। উম্মতে আহমদীর আলোকবর্তিকা স্বরূপ হুযুর গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র বিশেষত্ব বিষয়ে আলোচনা উপস্থাপন করেন মাদ্রাসায়ে গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর প্রভাষক মাওলানা মুজিবুল হক তরিকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়্যার প্রচার প্রসারে খলিফায়ে গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীগণের ত্যাগ ও আদর্শ হতে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষা বিষয়ে আলোচনা করেন সূফি গবেষক ও চিন্তাবিদ মাওলানা সেলিম উল্লাহ। মাদ্রাসায়ে গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাসেম সাহেবসহ বক্তৃতা উপস্থাপন করেন শিক্ষক মাওলানা একরাম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম জনি, আলী হায়দার বাবলু, ইউপি সদস্য, নানুপুর ইউনিয়ন তৌহিদুল আলম, আনোয়ার হোসেন, মাওলানা গিয়াস উদ্দিন ও মাওলানা নাজিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় মিলাদ কিয়াম পরিবেশন করেন শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র রওজা শরীফের খাদেম তাজুল ইসলাম। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি কেন্দ্রিয় পর্ষদের সদস্যবৃন্দ। গাউসিয়া হক মনজিলের কর্মকর্তাগণ। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গগণ, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ বিভিন্ন শাখা সমূহের সদস্যবৃন্দ। গাউসিয়া হক মনজিলের আশেক-ভক্তবৃন্দ। পরিশেষে রাহবারে আলম সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র আশীষ বাণীতে বলেন শুধু রাজনীতির জন্য নয়, আধ্যত্মিক দৈন্যতা নিরষণ করে, আধ্যাত্মিক পূর্ণতা প্রদানের জন্যই এসেছে ইসলাম। হুজুর গাউসুল আযম মাইজভান্ডারীর ১১৭তম মাহন ১০ মাঘ উরস শরিফ উপলক্ষে মাইজভান্ডারী দরবার শরিফ শাহী ময়দানে “তাজকেরা-এ-চেরাগে উম্মতে মুহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী (ম.জি.আ.) বলেছেন- আউলিয়ায়ে কেরামগণ তাদের ভক্ত অনুরক্তদের ডাকেন আল্লাহর পথে, আল্লাহর দিকে, শিক্ষা দেন তৌহিদের, দর্শন করান আল্লামুখী রাস্তার, কিন্তু সে ভক্তিমুখী, ভাবমুখী, প্রেমমুখী অবস্থানকে অপবাদ দেওয়া হয় পীর পূজা, শিরক বেদআত চর্চা হিসেবে (নাউযুবিল্লাহ)। এছাড়াও তিনি আউলিয়ায়ে কেরামের মাজার ভিত্তিক যে কর্মসূচি রয়েছে তা নাটক সিনেমার মধ্যে ভুল ভাবে উপস্থাপনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং আরো উল্লেখ করেছেন একাজে কিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রুপের সম্পৃক্ততার কথা। একাজে যারা নিয়োজিত তাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন- যারা মাজার সংস্কৃতিকে বিলুপ্ত করতে চাই, তারা আসলে মূল ইসলামের সংস্কৃতিকেই বিলুপ্ত করতে চাই। ইসলামের শিক্ষাকে বিলুপ্ত করতে চাই। মুসলিমদের ভবিষ্যতের পথ রূদ্ধ করতে চাই। কারণ তাসাউফ ইসলামই হচ্ছে বিশ্ব মুসলিমের পথরেখা নির্ণয়ের প্রধানতম হাতিয়ার”। তাসাউফ না থাকলে মুসলমানদের সারাক্ষণ পারস্পরিক সংঘাত, বিরোধের মধ্যে দেখতে পাওয়া যাবে। তাসাউফের যে কার্যক্রম রয়েছে তা তৌহিদের অনুকূলে কর্মসূচি, তৌহিদের বিমুখী কর্মসূচি নয়। তাই এ দর্শন ব্যাপকভাবে মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মাজার শরিফ থেকে আরো সামাজিক, মানবিক, বুদ্ধিভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেছেন- মুসলিম উম্মাহ বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। আমরা বিচারের জায়গা থেকে সরে গিয়েছি। আমরা যা ইচ্ছা করছি, নিজের স্বার্থে বিচার করা শিখে গেছি। আমি যখন সব ব্যাপারে শুধু নিজের স্বার্থে বিচার করব, আমি তখন কোন ভাল বিচার করতে পারব না। ভাল সিদ্ধান্ত দিতে পারবনা, সবার উপকারে আসে এমন সিদ্ধান্তে আমি পৌছাতে পারব না। তখন আমি আমার মুরব্বিআনার জায়গা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সরে যেতে হবে। দুভার্গ্যবসত এটি আমরা দেখেছি আমাদের আন্ত:ধর্মীয় সম্পর্কের মধ্যে তার পরে অন্তধর্মের মধ্যেও। অর্থাৎ ইসলামের মধ্যে যে নানান গ্রুপগুলো আছে তাদের মধ্যেও দেখেছি যেখানে একজন মুসলিমের জন্য অন্য মুসলমানের রক্ত হারাম সেখানে আমরা দেখেছি যে ইয়েমেনে মুসলিমরাই মুসলিমদের রক্ত নিয়েছে এবং নিচ্ছে। ইরাকে যে আমেরিকার মেম্বারগুলো বোমবেগ করেছে সে বিমানগুলো কিন্তু মুসলিম রাষ্ট্র থেকে উড়ে গেছে। সেখান থেকে তেল রিফুয়েরিং করেছে। কাজে কাজে আমাদের মধ্যে পারস্পরিক অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান হওয়া দরকার। বিচার আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের হাতে। আমরা প্রচার করব আমাদের বুঝ ব্যবস্থা অনুযায়ী। কিন্তু সব বিচার যেন আমরা পৃথিবীতেই করে যেতে চাই। আখেরাতের জন্য আমরা কোন বিচার রেখে যেতে চাইনা। এই পরিস্থিতি এই মানসিকতা আমাদের পরিবর্তন করতে হবে। আরেকটি আধ্যাত্মিক ধর্ম, কিন্তু এখন এমন অবস্থা হয়েছে ইসলাম ইকুয়াল রাজনীতি। ইসলামে একটি সামাজিক নীতিমালা রয়েছে। এর রাজনৈতিক একটি গাউড লাইনও রয়েছে। মুসলিম কিভাবে তাদের রাজনৈতিক জীবন পরিচালনা করবে। ইসলাম এমন একটি ধর্ম যেখানে রাজনীতি থেকে তাৎপর্যপূর্ণ আরো বেশি কিছু রয়েছে। ইসলাম মানুষের আধ্যাত্মিক দৈন্যতা নিরসণ করে আধ্যাত্মিক পূর্ণতা প্রদানের জন্য এসেছে, মানবিক চেতনা হলো বিকাশের জন্য এসেছে। “উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা থেকে চিন্তাযুক্ত আলোচনা বেশি প্রয়োজন। ভারসাম্যপূর্ণ সমাজে যাতে ব্যক্তিক ও সামষ্টিভাবে সাম্যপূর্ণ সমাজ গঠন করা যায় তার নীতিমালা নিয়ে এসেছে ইসলাম। কিন্তু রাজনীতির স্বভাব হচ্ছে প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করা। আমরাও এর অনেকখানী স্বীকার হয়ে গিয়েছি। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের অবশ্যই বেলায়তে মোতলাকা কিতাবের আদলে তৌহিদে আদইয়ানের ভিত্তিতে সমাজ নির্মাণ করতে হবে।” এছাড়াও তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মাইজভান্ডারী সুফি কবি রমেশ শীলের জীবনী জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে অর্ন্তভুক্ত করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এবং গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী (ক.)’র জীবনীও পাঠ্যপুস্তকে অর্ন্তভুক্ত করার অনুরোধ রেখে বক্তব্য শেষ করেন।



ফেসবুকে আমরা

ফেসবুকে আমরা