মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ, আশেকানে হক ভাণ্ডারী, শোকর মওলা মঞ্জিলের উদ্যোগে মহান ১০ ই মাঘ আওলাদে রাসূল (দঃ), বেলায়তী মোতলাকার ধারক, বাংলাদেশে প্রবর্তিত একমাত্র ত্বরিকা বিশ্ব সমাদৃত ‘ত্বরিকায়ে মাইজভাণ্ডারী’র প্রবর্তক, ইমামুল আউলিয়া, গাউসুল আজম হযরত মাওলানা শাহসূফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (কঃ) কেবলা কাবার ১১৮ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা, মিলাদ ও জিকিরে সেমা মাহফিল সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ শফিউল আজিম সুমন ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ গোফরান উদ্দীন ফরহাদের সঞ্চালনায় প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় পর্ষদের সিনিয়র সদস্য ও অত্র সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ শাহেদ আলী চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী। এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ মনোনীত ফটিকছড়ি ‘খ’ জোনের সমন্বয়ক মাষ্টার মুহাম্মদ দিদারুল আলম ও মাষ্টার আহমদ হোসেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মাইজভাণ্ডারী কালাম পরিবেশনের মাধ্যমে সভা শুরু হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনের সিনিয়র সদস্য মুহাম্মদ ওমর ফারুক। এরপর সমন্বয়কদ্বয় বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রধান অতিথি উনার বক্তব্যে বলেন, “প্রকৃত মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকার অনুসারীগণ সবরকারী। সবরের মধ্যে শোকর রয়েছে এবং শোকরের মধ্যে রয়েছে জিকির। আর জিকির হচ্ছে মওলার ভালোবাসায় নিজেকে উজ্জীবিত রাখা।”
মহান ১০ ই মাঘ ওরশ শরীফের তাৎপর্যের আলোকে তিনি আরো বলেন , “যারা বিনয়ী তারা সুফিবাদে বিশ্বাসী। আমাদের তাসাউফের পথে অগ্রসর হতে হলে আদব ও বিনয়ের অনুশীলন করতে হবে। যা মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকার অনুসারী হওয়ার পূর্ব শর্ত। আমরা নিজস্ব অবস্থান থেকে সেবক বা খেদমতগার হলে আমাদের মাঝে বিনয় আসবে। বিনয়ের সাথে খেদমতে দাখিল হলেই ওরশ শরীফের ফঁয়ুজাত আমাদের ওপর বর্ষিত হবে। ”
কেন্দ্রীয় পর্ষদ প্রেরিত মহান ১০ ই মাঘ ওরশ শরীফের নির্দেশনা মোতাবেক সংগঠনের কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও ওরশ শরীফে অংশগ্রহণের আহবান জানিয়ে সভাপতি ওনার বক্তব্যের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
সভায় আশেকানে হক ভাণ্ডারী, শোকর – এ মওলা মনজিল ও জ্যোতি ফোরামের সর্বস্তরের উপদেষ্টা, কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে মিলাদ, মোনাজাত ও জিকিরে সেমা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।