মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গাউসিয়া আহমদিয়া রহমানিয়া সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ফটিকছড়ি উপজেলা শাখার উদ্যোগে উদযাপিত, জ্ঞানানুশীলনমূলক সংগঠন ‘দি মেসেজ’র ব্যবস্থাপনায় “সুফি কথন” [মানকাবাতে বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)] অনুষ্ঠিত। চরণদ্বীপ দরবার শরীফ গাউছিয়া আহমদিয়া রহমানিয়া সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার অভিষেক আজ জয়িতা সম্মাননা পেয়েছেন জনপ্রতিনিধি হিসিবে একটানা ৩০ বছরেরও বেশি সময় পার করা কাউন্সিলর ফিরোজা বেগম গাউছিয়া হক মন্জিলের প্রতিনিধিগণ ফটিকছড়ি উপজেলায় নবনিযুক্ত ইউএনও সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ, চরণদ্বীপ দরবার শরীফের ১৩২ তম ওরশ শরীফের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন আধুনিক বিশ্বে নৈতিক বৈশ্বিকমানের মানুষ গঠনে মানুষকে ভালবাসতে হবে। -ড. নিজাম উদ্দিন জামি। ইমাম আল্লামা ফরহাদাবাদী (ক) শীর্ষক সেমিনার ২০২৩ অনুষ্ঠিত শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প ৬ষ্ঠ ধাপের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষা বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন
নোটিশ :

চট্টগ্রামের প্রভাবশালী দোভাষ পরিবারের নির্যাতনে বসতহারা খৃষ্টান পরিবার

চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গীবাজার এলাকার প্রভাবশালী দোভাষ পরিবারের নির্যাতনে বসত বাড়ি হারাতে বসেছে এক খৃষ্টান প্রতিবন্ধী পরিবার। ওই পরিবারকে বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য থানা পুলিশসহ স্থানীয়দের নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি মারিয়া মার্সার নামে এই নারী। জানা যায়, নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটার শেখ পাড়া এলাকার খৃষ্টান পাড়ার মারিয়া মার্সার ও তার প্রয়াত স্বামী রিচার্ড মার্সার দীর্ঘদিন ধরে ঘোষণা সূত্রে পাওয়া মৌরশী সূত্রে পাওয়া জায়গায় চার দশকের বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি ফিরিঙ্গীবাজারের প্রভাবশালী দোভাষ পরিবারের শাহ আলম দোভাষের পুত্র শহিদুল আলম দোভাষ বসতভিটা দখল করার জন্য চেষ্টা করছেন। গত ৩১ অক্টোবর বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে মারিয়া মার্সারের বাসায় হামলা চালিয়ে তালা ভেঙে অবৈধভাবে একটি বাসা দখল করে নিয়েছে। এ বিষয়ে ভিকটিম মারিয়া মার্সার ও তার প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ উভয়কে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও শহিদুল আলম দোভাষ তা অমান্য করে আসছে। এমন অবস্থায় সংখ্যালঘু খৃষ্টান সম্প্রদায়ের এ মহিলা প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পাশাপাশি মৌরশী সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি দখল হয়ে যাওয়ায় এক প্রকার আর্থিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। ভিকটিম মারিয়া মার্সার অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘ দিন ধরে আমার স্বামী ও স্বামীর ওয়ারিশগণ বসবাস করে আসছি। জায়গার বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল ও আরএস ও পিএস মূলে জায়গা ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম চৌধুরী দোভাষ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবির ভাই শহিদুল আলম দোভাষ এ দুই জনের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আমাদের উচ্ছেদ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আমরা অসহায় নিরীহ পরিবার হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না। থানা পুলিশ জানলেও শহিদুল আলম দোভাষ প্রভাব খাটিয়ে তার পক্ষে নিচ্ছে আইন আদালত সব কিছু। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সুনজর কামনা করছি। তিনি বলেন, আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন, আমাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমরা এ ধরনের নির্যাতন ও ঘর হারাতে হবে কখনো চিন্তা করিনি। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারের সহযোগিতা কামনা করছি। পূর্ব পুরুষের ভিটা বাড়ি রক্ষায় সকলকে আমাদের পাশে থাকার অনুরোধ করছি অন্যাথায় প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত দোভাষ পরিবারের সন্তান শহিদুল আলম দোভাষ বিষয়টি নিজের জায়গা দাবি করে বলেন, এটা আমার জায়গা, আমার জায়গায় ওরা বসবাস করছে। আমাদের জায়গায় ওই খৃষ্টান পরিবার জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে।



ফেসবুকে আমরা

ফেসবুকে আমরা